পাবনার মালঞ্চি ইউনিয়নের নওদা পাড়ায় রাস্তা নির্মাণে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি চক্রের বিরুদ্ধে। সকল নিয়ম কানুন মেনে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করেন গ্রামবাসী। কিন্তু ভুয়া মালিকানা দাবী করে শাহাজাহান, টিপু, হেলালের নেতৃত্বে একটি চক্র রাস্তা নির্মাণে বাধা দিয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। এ বিষয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ জানালে পুলিশী নিরপত্তায় রাস্তার কাজ শুরু করেন স্থানীয়রা। তবে, নির্মাণাধীন রাস্তার জমি নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে দাবি করে পুলিশের বিপক্ষে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ শাহজাহান আলীর।
ভুক্তভোগী শামীম হোসেন জানান, ২০১৮ সালে পাবনার মালঞ্চি ইউনিয়নের নওদাপাড়া জামে মসজিদের পাশে আমরা কয়েকজন প্রতিবেশী রাস্তা নির্মানের জন্য আব্দুস সামাদের নিকট থেকে পাঁচ শতক জমি কিনি। পরবর্তীতে প্রতিবেশী শাহাজাহান ও তার কয়েকজন আত্মীয় জায়গাটি নিজেদের দাবি করে রাস্তার নির্মাণ কাজে বাধা দেয়। এ নিয়ে কয়েকদফা সালিশে শাহাজাহান গং নিজেদের মালিকানা প্রমাণ করতে না পারায় সালিশেও তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সোহেল হাসান শাহীনসহ গণমান্য ব্যাক্তিরা আমাদের পক্ষে রায় দেয়। সম্প্রতি, বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমেদ বাবু কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটি বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নিলে শাহাজাহান দলবল নিয়ে এসে শ্রমিকদের তাড়িয়ে দেয়। এরপর আমরা নিজ অর্থায়নে রাস্তা তৈরির উদ্যোগ নিলে তারা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। আমরা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশের সহযোগিতায় রাস্তা নির্মান কাজ চলছে। এরপরেও তারা রাস্তা কেটে দেবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
মালঞ্চি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম বলেন, জমির স্বপক্ষে শাহাজাহান গং কোন সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। সালিশে বিষয়টি সমাধানের পর রাস্তা তৈরির পক্ষে মতামত দেয়া হয়। নওদাপাড়া জামে মসজিদের পেছনে সরকারি রাস্তা থাকলেও মূল সড়কের সাথে সংযোগ ছিলো না। গ্রামবাসী নিজ অর্থায়নে রাস্তা নির্মানের উদ্যোগ নিয়েছে। শাহাজাহান ও তার পরিবারের লোকজনের বাধা দেয়ার যৌক্তিক অধিকার নেই।
তবে, রাস্তা নির্মানে বাধা দিলেও ভয়ভীতি দেখাননি বলে দাবি অভিযুক্ত শাহাজাহানের। তিনি বলেন, আব্দুস সামাদ একজন ভূমিদস্যু। সে ভুয়া কাগজ তৈরি করে জমি বিক্রি করেছে। আমরা জমির বৈধ ওয়ারিশ। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। মামলা বিচারাধীন অবস্থায় গায়ের জোরে রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। আমরা রাস্তা নির্মানের বিপক্ষে নই কিন্তু তারা ভুয়া সালিশনামা তৈরি করে জমি দখল করেছে।
পাবনা সদর থানার এস আই জাহিদ জানান, রাস্তা নির্মাণ নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায় শাহাজাহান ও ইসমাইলের আত্মীয়রা জমিটি আব্দুস সামাদের কাছে বিক্রি করে। খাজনা খারিজসহ যথাযথ কাগজপত্রসহ রাস্তা নির্মাণের জন্য গ্রামবাসী সামাদের নিকট থেকে জমি কেনে। এক্ষেত্রে শাহাজাহান জমির বিষয়ে বৈধ কাগজ দেখাতে না পারায়। স্থানীয় চেয়ারম্যানের মতামতের প্রেক্ষিতে রাস্তা নির্মানে পুলিশ নিরপত্তা দিয়েছে।
Leave a Reply