নিজের নাম পালটে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার থেকে সরাসরি হয়ে গেছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন চিকিৎসক। শহরের প্রাণকেন্দ্রে আলিশান ভবনে অনুমোদনহীন চক্ষু হাসপাতাল খুলে রীতিমতো রোগী দেখছেন তিনি।
এমন এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের খোঁজ মিলেছে রাজবাড়ীতে। ২০২০ সাল থেকে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সোলায়মান হোসেন বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন ডা. মো. মোস্তফা সরোয়ার সেজে ৫০০ টাকা ভিজিট নিয়ে চক্ষু রোগীদের চিকিৎসাসেবার নামে প্রতারণা করে আসছেন।
তার এই প্রতারণার কাজে তাকে সহযোগিতা করছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শিমুল মুন। তিনিও নিজেকে অপথালমোলজিস্ট হিসাবে পরিচয় দেন। পাবনার বেড়া থেকে সপ্তাহে ৩ দিন (বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার) এখানে এসে মিথ্যা ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চক্ষু রোগী দেখেন সোলায়মান হোসেন।
জানা যায়, সোলায়মান হোসেন পাবনা জেলার বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে চাকরি করেন। ২০২০ সালে রাজবাড়ী শহরের বড়পুলে রাবেয়া টাওয়ারের তৃতীয় তলায় সরকারি কোনো অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তোলেন আইভি আই কেয়ার অ্যান্ড ফ্যাকো সেন্টার নামে চক্ষু হাসপাতাল।
সেখানে নিজের নাম পালটে সোলায়মান হোসেন থেকে সেজে যান বিশেষজ্ঞ ও ফ্যাকো সার্জন ডা. মো. মোস্তফা সরোয়ার। এই নামেই তৈরি করেন ভিজিটিং কার্ড ও সাইনবোর্ড। ভিজিটিং কার্ডে তার উপাধি দেওয়া হয় সিয়াম সামী আই কেয়ার অ্যান্ড ফ্যাকো সেন্টারের কনসালটেন্ট। ভিজিটিং কার্ডে সেন্টারের ঠিকানা না দেওয়া থাকলেও সেখানে এমবিবিএস, ডিও (ডিইউ) এপিডি/স্পেশাল ট্রেনিং মাইক্রো সার্জারি, ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল, ঢাকা/ট্রেইন্ড ইন অরবিস (আমেরিকা) নামে নানা ডিগ্রির কথা উল্লেখ করা হয়।
একই ভাবে ক্লিনিকটির চেম্বারেও তার পরিচয় লিখে রাখা হয়। চেম্বারের অপরপ্রান্তে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ৮-১০টি বেড। একই ভবনের পঞ্চম তলায় দ্বিতীয় স্ত্রী শিমুল মুনকে নিয়ে বসবাস করেন তিনি।
Leave a Reply