আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে যাত্রী ও পরিবহন চলাচল আরও গতিশীল করতে দ্রুত সময়ের মধ্যে আরো একটি নতুন ফেরী চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি শুক্রবার দুপুরে পাবনার কাজীরহাট ফেরীঘাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর চাপ ও ঝুঁকি কমাতে এবং মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বর্তমান সরকারের ১০ হাজার কিলোমিটার নদীপথ বৃদ্ধি কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই পাবনার কাজীরহাট-আরিচা নৌ রুটে ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়। ইতোমধ্যে এই রুটটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ঈদে অতিরিক্ত যাত্রী ও পরিবহনের চাপের কারনে দুই একদিনের মধ্যে নতুন আরেকটি ফেরী এই রুটে চলাচল শুরু করবে বলেও তিনি ঘোষনা দেন।
কাজীরহাট ফেরীঘাট এলাকা পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন, এখানে আমাদেও ওয়ার্কশপ না থাকায় অনেক সময় জটিলতার সৃষ্টি হয়। শ্রীঘ্রই এই ঘাটটি আধুনিকায়ন করা হবে বলেও জানান।
কাজীরহাট-আরিচা ফেরিঘাট পরিদর্শন কালে বিআইডাব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান কমোডোর গোলাম সাদেক বলেন, চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারী দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর পাবনার কাজীরহাট ও মানিকগঞ্জের আরিচা রুটে ফেরী চলাচল শুরু হয়। এই ঘঁটি চালু হওয়ার পর থেকে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গেও প্রায় ১৫টি জেলার লোকজন এ রুটে চলাচল শুরু করেন। বিশেষ করে পরিবহনের ট্রাক রাতে চলাচলে গুরুত্ব দেয়। ফলে চরম চাপ শুরু হয় এই নৌরুটে।
এ সময় সেখানে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ দপ্তরের (বিআইডাব্লিউটিসি) এর উর্দ্ধতন কর্মকর্তারাসহ পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ^াস রাসেল হোসেন, পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম বিপিএম, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা উপ কমিটির সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা কামরুজ্জামান উজ্জল, সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনুজ্জামান শাহিন, বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু, রূপপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল হাশেম উজ্জল, মাসুমদিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিরোজ হোসেন, ঢালারচর ইউনিয়ন আওয়ামীগের সাধারন সম্পাদক নাসির উদ্দিন বেপারীসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
পরে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চেšধুরী সড়ক পথে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে পাবনা ত্যাগ করেন।
Leave a Reply