পাবনা বেড়া পৌর এলাকার সানিলা মহল্লায় পূর্ব শত্রæতার জের ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিকের বাড়িতে আগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ঘরে থাকা আসবাসপত্র ও মূল্যবার সামগ্রী পুরে ছাই হয়ে যায়। এছাড়াও হামলাকারীরা নগত অর্থ, স্বর্ণ অলংকারসহ কয়েক ল টাকা মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বাড়িতে থাকা দুই শিশু ও তাদের মা কে ঘরে বন্দী করে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে দিবাগতরাত দেরটার দিকে সানিলা মহল্লার মৃত মোঃ টালু মোল্লার ছেলে শফিকের বাড়ীতে।
এ ঘটনায় বেড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, হামলাকারীরা এলাকায় চিহৃত সন্ত্রাসী ও স্থানীয় সংসদ সদস্যর অনুসারী। সাংসদের নির্দেশ ময়সের বাহিনী আমার বাড়ি লুটপাট ও পেট্রোল দিয়ে বাড়িতে আগুন দিয়েছে।
তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি আমার স্ত্রী ও শিশু সন্তান। হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের ঘর বাইরে থেকে আটকে দেয় এবং পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমাদের উপর হামলার একমাত্র কারণ আমরা এমপির সমর্থন করিনা। কেউ স্থানীয় সাংসদর কথামতো না চললে তাদের উপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। একই ভাবে আমার বাড়িতেও হামলা চালানো হয়েছে।
হামলার সময় উপস্থিত ছিল স্থানীয় সাংসদের আস্থাভাজন ও চিহৃত সন্ত্রাসী ময়ছের, আজাদের ছেলে বাদশা, রমজান, কালু, আলামিন, আনোয়ার, ঠান্টু, লালন, হাসমত মুসুল্লী ও তার ছেলে কাওসার। এ সময় ঘরে থাকা ৭লাখ টাকা নিয়ে গেছে এবং থানায় মামলা করলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমান বেড়া আ.লীগ যেন টুকু লীগের পরিণিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কথা বললে নেমে আসে নির্মম নির্যাতন ।
তবে এ বিষয় স্থানীয় সাংসদ শামসুল হক টুকু এমপির মোবাইলে একাধিক বার কল করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেড়া সার্কেল কল্লোল কুমার দত্ত ঘটনায় সতত্যা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা স্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে আইন অনুযাযী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply