সাঁথিয়া উপজেলা সদরের একটি সন্ত্রাসী চক্র ক্রমশ বেপরোয়া হয়ে উঠছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশী তৎপরতা নেই হেতু তারা ক্রমান্বয়ে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। এতে পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের নেতীবাচক ধারণা হচ্ছে। যদিও দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের লালন পুলিশের কাজ।
প্রকাশ্য দিবালোকে সরকারি অফিস প্রাঙ্গনে, বাজারে এবং রাস্তা-ঘাটে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হচ্ছে নিরীহ জনগণ। সাঁথিয়া থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগীরা।
সাঁথিয়া ফকিরাপাড়ার ইসলামের দুই ছেলে মিনারুল ইসলাম বিশু ও মিজানুর রহমান মিলন গত ২০ জুন বিকাল ৫ টায় সাঁথিয়া বাজারের (বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী) একটি চা’য়ের দোকেনের সামনে শাকিল নামের এক যুবককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। শাকিল পৌর এলাকার পূর্ব ভবানিপুর গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে। বিশু এবং মিলন রড এবং ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে বেধরক পেটায় শাকিলকে। এতে শাকিলের পা ভেঙে গেছে। আহত শাকিলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শাকিলের পিতা ওয়াজেদ আলী বাদী হয়ে সন্ত্রাসী বিশু এবং মিজান এর বিরুদ্ধে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশী তৎপরতা লক্ষ্য করা যায় নি।
গত ২৪ এপ্রিল সাঁথিয়া সাব রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে সকাল ১১ টায় সন্ত্রাসী মিনারুল ইসলাম বিশু এবং চক নন্দনপুর গ্রামের জামাল রাজাকারের ছেলে মেহেদী হাসান রুবেলসহ ৬ জন সন্ত্রাসী গোপিনাথপুর গ্রামের ইসমাইল ওরফে চৈতা প্রাং এর ছেলে ফরিদকে মারপিট করে। আহত ফরিদ সাঁথিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। সন্ত্রাসীরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফরিদকে মামলা না করার হুমকী দেয়। ফরিদ নিজেই বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করে। কিন্তু ফলাফল শূন্য।
চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা প্রবীণ সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপনকে আক্রমণ করে গত ২৫ মে রাত ৯ টায়। মিনারুল ইসলাম বিশুসহ ৫ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসীর নাম উল্লেখ করে ২৬ মে সাঁথিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সাংবাদিক হাবিবুর রহমান স্বপন।
সন্ত্রাসী এই চক্রটি উপজেলা সদরে যারা বিভিন্ন অফিসে কাজ কর্ম করতে আসে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলেই নানাভাবে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে।
পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে সন্ত্রাসীরা একের পর এক অপকর্ম করে চলেছে। সাধারণ জনগণ পাবনার জনপ্রিয় জনবান্ধব পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খানের কাছে এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
Leave a Reply