পাবনা প্রেসক্লাবের জীবন সদস্য ও দেশ বরেন্য শিল্পপতি স্যামসন এইচ চৌধুরী ছিলেন আজীবন স্বাধীনতা সংগ্রামী ও দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি আন্দোলনের প্রথম সারির যোদ্ধা। একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র বলেন, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে তিনি ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্য হিসেবে যুদ্ধ করেছেন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান রয়েছে। শৃংখলা বা নিয়মানুবর্তিতার কথা মুখে বলতেন না। তিনি ছিলেন পরিপূর্ণভাবে একজন ডিসিপ্লিনড মানুষ। একজন সফল, সুখী এবং পরিপূর্ণ মানুষ হিসাবে স্যামসন এইচ চৌধুরীর মৃত্যু হয়েছে। আর প্রয়ান দিবসে সবাইকে নিয়ে আমরা তার সফলতার গল্প, সততার গল্প সহ দেশপ্রেমের কথাগুলো স্মরণ করি। তিনি বলেন, স্যামসন এইচ চৌধুরী ছিলেন প্রকৃত দেশপ্রেমিক ও অর্থনেতিক মুক্তির পথ প্রদর্শক। তিনি সব সময় দেশের উন্নয়নে, মানুষের উন্নয়নে তিনি সবসময় নতুন নতুন চিন্তা ভাবনা করতেন।
বুধবার রাতে পাবনা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রেসক্লাব অডিটরিয়ামে স্মরণসভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেলের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় বক্তব্য দেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও কলামিষ্ট রণেশ মৈত্র, পাবনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী, পাবনা চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহসভাপতি মো. আলী মতুর্জা বিশ^াস সনি, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদ সভাপতি আব্দুল মতীন খান, পাবনা প্রেসক্লাব সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, স্কয়ার ফুড এন্ড বেভারেজের পরিচালক আব্দুল খালেক, স্কয়ার ফার্মাসিটিউক্যালসের জেনারেল ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শহীদুল হক মানিক, প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক উৎপল মির্জা প্রেসক্লাব সদস্য আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান মাষ্টার প্রমুখ। স্মরণসভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন পাবনা প্রেসক্লাব কল্যাণ সম্পাদক সরোয়ার উল্লাস।
স্মরণ সভার শুরুতে প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়। স্কয়ার টয়লেটিজ্রের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এইচআর) আব্দুল হান্নান, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আবহায়ক শিবলী সাদিক, পাবনা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি শহীদুর রহমান শহীদ, সহ সম্পাদক তপু আহমেদ, প্রবীন সাংবাদিক আবদুল জব্বার, জহুরুল ইসলাম রফিকুল ইসলাম সুইট, রাজিউর রহমান রুমী, কলিট তালুকদার, আবু হাসনা মুহাম্মদ আইয়ুব, মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, মীর্জা পার্থ হাসান, রিজভী জয় প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। স্মরণসভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন পাবনা প্রেসক্লাব কল্যাণ সম্পাদক সরোয়ার উল্লাস। স্মরণ সভার শুরুতে প্রয়াত স্যামসন এইচ চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরাবতা পালন করা হয়।
এর আগে সকালে পাবনায় বৈকন্ঠপুরের এষ্ট্রাস খামার বাড়ীতে স্যামসন এইচ চৌধুরী সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান স্কয়ার মাতা অনিতা চৌধুরীসহ পরিবারের সদস্যরা। এ ছাড়া ধর্মিয় প্রার্থণা অনুষ্ঠিত হয়।
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী স্যামসন এইচ চৌধুরী ১৯২৬ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার কাশীয়ানী থানার আড়–কাকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। স্যামসন চৌধুরী ভারতে পড়াশুনা শেষ করে ১৯৫২ সালে পাবনা জেলার আতাইকুলায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তার বাবা ইয়াকুব হোসেন চৌধুরী ছিলেন একটি ফার্মেসীর মেডিকেল অফিসার।
Leave a Reply