পাবনা সরকারী শিশু পরিবারের ৮ বছরের এতিম শিশু বীথি। লাল রঙের নতুন ফ্রক আর রঙিন টুপি মাথায় মঙ্গলবার সকালেই হাজির শহরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে। উদ্দেশ্য সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিনের আয়োজনে যোগ দেয়া। নতুন পোশাকের আনন্দে তার মুখে ছড়িয়ে পড়ছিলো খুশির ঝিলিক। কিছুক্ষণ পর পর খুশিতে বলে উঠছিলো শুভ জন্মদিন প্রধানমন্ত্রী।
বীথির মত সরকারী শিশু পরিবারের আরো ৭৫ জন এতিম শিশুকে নতুন পোশাক বিতরণের ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে পাবনায় শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫ তম জন্মদিনের উৎসব আয়োজন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বরে নানা রঙের বর্ণিল পোশাকে পরিহিত সরকারি শিশু পরিবারের ৭৫ জন এতিম শিশুকে সাথে নিয়ে কেক কাটেন পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি। এ সময় শিশুদের হাতে নানা উপহারও তুলে দেন তিনি।
নতুন পোশাক পেয়ে শিশুরা মেতে ওঠে আনন্দে। গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি তাদের সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের কেক কাটেন। শিশুদের কেক খাওয়া আর মিষ্টিমুখে পুরো স্বাধীনতা চত্বরে ছড়িয়ে পড়ে উৎসবের আমেজ।
সরকারী শিশু পরিবারের উপ তত্ত্বাবধায়ক সুবর্ণা সরকার জানান, করোনাকালে সরকারী শিশু পরিবারের এতিম শিশুরা বাইরে আসার সুযোগ পায়নি। তারা একঘেঁয়েমির মাঝে সময় পার করছিলো। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে নতুন পোশাকে বাইরে আসতে পেরে তারা ভীষণ খুশি। এমন আয়োজনের জন্য সরকারী শিশু পরিবার আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কেবল এই ৭৫ জনই নয়, প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে শিশু পরিবারের সকল শিশুকেই নতুন পোশাক দিয়েছেন সাংসদ প্রিন্স।
পাবনা সমাজ সেবা অফিসের প্রবেশন অফিসার পল্লব ইবনে শায়েখ বলেন, দেশের সকল বড় আয়োজনে এতিম শিশুরা বঞ্চিত হয়। উৎসবের দিনগুলোতে স্বজনহারা শিশুদের ভীষণ মন খারাপ থাকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের উৎসবে আনন্দ আয়োজনে যোগ দিতে পেরে তারা সত্যিই উৎসবের আনন্দ পেয়েছে।
পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা বিশে^র নির্যাতিত নিপীড়িত ও দুঃখী মানুষের আশ্রয়। নিজে স্বজনহারা এতিম হয়েও সারা বাঙলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটতে সারা জীবন কাজ করেছেন। এ কারণে তাঁর জন্মদিনে এতিম শিশুদের মুখে হাসি দিয়েই আমরা উৎসব শুরু করতে চেয়েছি। হাসিমাখা মুখে শিশুরা প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করেছে। এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লালসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় থেকে জেলা আওয়ামীলীগের আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
Leave a Reply