পাবনার প্রকাশ্যে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত আওয়ামীলীগ নেতা সাইদার রহমান মালিথা হত্যার বিচার দাবীতে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় হেমায়েত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে মন্ডলপাড়া এলাকায় এ শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। শোক সভার প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে নেতৃত্ব দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন। পাবনায় সেই অগ্রযাত্রার একজন অন্যতম সৈনিক ছিলেন আমাদের সাইদার। তিনি নেতৃত্ব দিয়ে হেমায়েতপুরকে আওয়ামীলীগের ঘাঁটি করেছেন।
সাইদার হত্যাকান্ড আমাদের চরম ব্যথিত করেছে। তবে আমাদের ভেঙে পড়লে চলবে না। দেশে আইনের শাসন রয়েছে। প্রশাসন সাইদার হত্যার বিচারের ব্যাপারে তৎপর। অবশ্যই এ হত্যার সুবিচার হবে। আমরা তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
প্রিন্স বলেন, দেশে বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র চলছে আমাদের বিরুদ্ধে। আজ নানা সংকটের কথা বলে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফায়দা লুটতে চায়। এই সংকট শুধু বাংলাদেশের নয়, এই সংকট বিশ্বব্যাপী। এই সংকট সাময়িক, যা কেটে যাবে। সেটা আমাদের বুঝতে হবে। রাষ্ট্রগঠনে বরাবরের মত আওয়ামীলীগের পাশে থাকতে হবে।
হেমায়েতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আসলাম প্রামাণিকের সঞ্চালনায় নিহত পৌর আওয়ামীলীগে নেতা সাইদারের শোক সভা ও দোয়ার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক রেজাউল রহিম লাল ও বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক কামিল হোসেন, সাবেক শ্রম বিষয়ক সম্পাদক সরদার মিঠু আহমেদ, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুর আলম তৌফিক, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাড. তসলিম হাসান সুমন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মামুন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সুইট সহ হেমায়েতপুর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
বক্তারা বলেন, সাইদার ছিলেন নিবেদিত প্রাণ আওয়ামীলীগ নেতা। দক্ষ সংগঠক। এ্ই হত্যাকান্ডে জড়িতদের বেশির ভাগই এখন কারাগারে। দলের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন সময় তারা অপকর্ম করেছে। আমরা বিশ^াস করি প্রশাসন প্রভাবমুক্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেবে। এবং দ্রুত বিচারের মাধ্যমে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
সভা শেষে নিহত সাইদারের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এসময় স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জুম্মার নামাজের কয়েক মিনিট আগে সদর উপজেলার চর বাঙ্গাবাড়িয়া নজুর মোড়ের চায়ের দোকানে পৌর আওয়ামীলীগ নেতা সাইদারকে গুলি করে হত্যা করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা ও হেমায়েতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মালিথা সহ ১০ জনকে আসামী করে মামলা করেন নিহতের পরিবার। হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকায় প্রথমে ৪ জন ও পরে প্রধান আসামি আলাউদ্দিন মালিথা সহ মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Leave a Reply