পাবনায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে গুলি করে হত্যার দায়ে স্বামী আব্দুল্লাহ’র মৃত্যুদন্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আব্দুল্লাহ পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের পশ্চিম জামুয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ভাঁড়ারা গ্রামে রুমানা পারভীন অন্তরার সাথে বিয়ের পর থেকেই স্বামী আব্দুল্লাহ অন্তরার পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা ও একটি মোটর সাইকেল যৌতুক দাবী করে। যৌতুক না দেওয়ায় অন্তরাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল সে। ২০১৪ সালের ৩০ অক্টোবর রাতে অন্তরার সাথে কথা কাটাকাটি হলে, আব্দুল্লাহ তার পিতার ঘর থেকে বন্দুক এনে অন্তরকে গুলি করে। স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় নিহত রুমানা পারভীন অন্তরার পিতা রফিকুল ইসলাম চারজন কে আসামী করে মামলা দায়ের করে।
দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া ও ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ট্রাইবুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব আর আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম ফরিদ উদ্দিন।
Leave a Reply