পাবনায় মানা হচ্ছে না এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের নির্দেশনা। ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের। দিনে কয়েক দফায় ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং চলছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নর্থ বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (আরইবি) এই দুই কোম্পানির মাধ্যমে পাবনা জেলার ৯ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ৮০ মেগাওয়াট। কিন্তু চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ মিলছে অর্ধেকেরও কম।
শুক্রবার (২২ জুলাই) দুই কোম্পানির আওতায় মোট বিদ্যুৎ বরাদ্দ পাওয়া গেছে মাত্র ২৬ মেগাওয়াট। এজন্য ১-২ ঘণ্টার পরিবর্তে দিনে ৮-১০ ঘণ্টা লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। প্রতি এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে।
তবে জেলা শহরের বাইরে বিভিন্ন উপজেলাসহ গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও খারাপ। এসব এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় অর্ধেকেরও কম বিদ্যুৎ বরাদ্দ পাওয়ায় এলাকা নির্ধারণ করে ক্রমান্বয়ে লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি বিদ্যুৎ বিভাগের।
শহরের খেয়াঘাটপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল হক বলেন, এলাকাভিত্তিক এক থেকে দুই ঘণ্টার কথা বলা হলেও ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং চলছে। গত কয়েকদিনে দেখা গেছে দিনে ৫-৮ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করেছে।
শালগাড়িয়া মহল্লার এক পরীক্ষার্থী বলেন, তীব্র গরম আর লোডশেডিংয়ের কারণে ঘরে থাকা যায় না। ঠিকমতো লেখাপড়া করতে পারছি না। অথচ সামনেই আমাদের পরীক্ষা। পরীক্ষার আগে এমন অবস্থা চলতে থাকলে আমরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবো বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে পাবনা বিদ্যুৎ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মাজেদুল হক বলেন, সারাদেশের মতো আমরাও চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, জেলায় বর্তমানে দিনে শুধুমাত্র পিডিবির চাহিদা ৪৮ মেগাওয়াট (আরইবি বাদে) বিদ্যুৎ। কিন্তু বরাদ্দ মিলছে অর্ধেক বা তার চেয়ে একটু বেশী, তাই ১-২ ঘণ্টা করে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের নির্দেশনা মানা যাচ্ছে না।
Leave a Reply