গ্রীষ্মের শুরুতেই রোদ তাঁতিয়ে উঠেছে। প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, এই মুহূর্তে পাবনাসহ দেশের পাঁচ জেলার উপর দিয়ে মাঝারি তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
রোববার (২৪ এপিল) খুলনার চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, দিনে তাপমাত্রা বেড়েছে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, রোববার (২৪ এপ্রিল) রাজশাহী, পাবনা, গোপালগঞ্জ ও পটুয়াখালি অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদ থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে এবং তা বিস্তার লাভ করবে।
রোববার খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। রাজশাহী ও এই বিভাগের ঈশ্বরদিতে তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মোংলাতে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া দেশের অন্তত দশ জেলায় ৩৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বইছে।
আবহাওয়াবিদ জানিয়েছেন, এটা গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা। এটা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা তাপমাত্রা বেশি আছে। আগামী দুইদিনও তাপমাত্রা বাড়তি থাকবে। দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে, রাতের তাপমাত্রাও বাড়তি থাকবে। তবে ৭২ ঘণ্টা পর গরম সহনীয় হতে থাকবে। পাশাপাশি কয়েক জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের দায়িত্বরত নাজমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চলতি মৌসুমে আজ রবিবার এই এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তা হলো ৪০ দশমিক ২, যা এ বছরের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা। ইতিমধ্যেই পাবনা শহরসহ পাবনার বিভিন্ন স্থানে লোক সমাগম কমেছে। বিনা কারনে কেউ বাসার বাহিরে বের হচ্ছেনা।
পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিন বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
Leave a Reply