দেড়শ বৎসরের পুরাতন, ২৭ বর্গ কিলো মিটার আওতার ২ লক্ষ ৩০ হাজার পৌরবাসীর বহুল প্রতিক্ষিত পাবনা পৌরপার্ক নির্মাণ কাজের উদ্বোধন হয়েছে। পাবনা বাসীর প্রাণের দাবি ছিল এই পৌরপার্কের। এই পার্ক নির্মান কাজের সংবাদে শহরবাসীর মধ্যে আনন্দ ধারার অভিব্যাক্তি জানিয়েছেন কয়েকজন।
শনিবার বিকেল ৩টায় পৌরসভাধীন বাস টার্মিনাল সংলগ্ন (ট্রাক টার্মিনাল চত্বর) এলাকায় ভাষা সংগ্রামী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম বাদশা পৌর পার্ক নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি।
পাবনা পৌর মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান এর সভাপতিত্বে অনুষ্টানে আরো বক্তব্য রাখেন, মন্ত্রী পরিষদের অতিরিক্ত সচিব মো. সাবিরুল ইসলাম (বিপ্লব), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোশারোফ হোসেন । অনুষ্টান পরিচালনা করেন বস্তিউন্নয়ন কর্মকর্তা নুরুল আলম বিশ্বাস লিন্টু।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, একুশে পদক পাপ্ত কলামিষ্ঠ ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রণেশ মৈত্র, পাবনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আতিয়ুর রহমান, পাবনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতীন খান, প্রেসক্লাব সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, সহসভাপতি শহীদুর রহমান শহীদ, কমরেড জাকির হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আবু ইসহাক শামীম, বিজয় ভুষন রায়, তসলিম হাসান সুমন, শাজাহান মামুন, শহীদুর রহমান শহীদ প্রমূখ।
পাবনা পৌর মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান বলেন, আমি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে পৌরসভার সকল কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের নিয়ে পৌরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের চেষ্ঠা করে যাচ্ছি। সংশ্লিষ্টদের বেতন বোনাস সময় মত দিয়ে, জলাবদ্ধাকে প্রাধান্য দিয়ে রাস্তা ও ড্রেন নির্মান, মশা নিধনসহ বিভিন্ন কাজ করছি। প্রায় দেড়শ বৎসরের পুরাতন ঐহিত্যবাহী এই পৌরসভায় কোন বিনোদন পার্ক না থাকাটা দুঃখ জনক। পৌরবাসীর একটি বিনোদন পার্ক বিষেশ প্রয়োজন বিষেশ করে বাচ্চাদের জন্য। অর্থনৈতিক স্বপ্লতার মধ্যে একটি নান্দনিক পার্ক করতে যাচ্ছি। ভবিষতে এই পার্কের উন্নয়ন করে দেশের মধ্যে একটি অন্যতম পার্ক করব ইনশাল্লাহ। পাবনা জেলার আন্দোলন, সংগ্রামে চিরস্মরণীয়- ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, একুশে পদক প্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম বাদশা। এ জন্য তার নামে এই পার্কের নাম করণ করা হলো। ৪ একর জায়গার উপর প্রাথমিকভাবে ৯টি রাইডার, লেক, নৌকা, লেকের চারপাশে রাস্তা, বাগান, বসার স্থানসহ বেশ কিছু বিনোদন ব্যবস্থা থাকবে পর্কে।
Leave a Reply