শস্যভান্ডার বলে খ্যাত চলনবিল অধ্যুষিত চাটমোহর উপজেলায় বিনাহালে রসুন আবাদ করে চাষীরা আশাতীত ফলন পেয়েছে। কয়েক বছরের সাফল্যের পর এবারও ব্যাপকহারে বিনাহালে রসুনের আবাদ হয়েছে এ উপজেলায়। এখন চাষীরা রসুন ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিন-রাত পরিশ্রম করে কাঙ্খিত ফসল ঘরে তুলতে পেরে মহাখুশী চাষীরা। এ অঞ্চলের ‘সাদা সোনা’ বলে খ্যাত মসলা জাতীয় ফসল রসুন এখন অন্যতম অর্ধকরী ফসল। চাষীরা জানালেন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার রোগ বালাই কম ছিল,ফলে রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে।
চলতি মৌসুমে চাটমোহর উপজেলায় ৬ হাজার ২৫০ হেক্টর জমি বিনাহালে রসুনের আবাদ হয়েছিল। প্রতিবিঘা জমিতে ৩৫ থেকে ৪০ মণ ফলন হয়েছে। প্রতিমণ রসুনের বর্তমান বাজার মূল্য ৯শত থেকে ১ হাজার টাকা। ম্সা চারেক পরে প্রতিমণ রসুনের দাম হবে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইদুর রহমান জানান,আমন ধান কাটার পর জমি থেকে দ্রুত আগাছা পরিস্কার করে মাটি ভেজা থাকতেই পরিমিত সার প্রয়োগ করে সারিবদ্ধভাবে রসুনের বীজ রোপন করতে হয়। এরপর খড় দিয়ে জমি ঢেকে দিতে হয়। একমাস পর সেচ দিয়ে জমিতে পরিমাণমত ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয়। ৯০ থেকে ১শ দিনের মধ্যে রসুন ঘরে ওঠে।
উপজেলার দাঁথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামের রসুন চাষী মোঃ ইজাবত আলী জানান,এবার আবাদে খরচ একটু বেশী। বিঘাপ্রতি ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিঘাপ্রতি ফলন ৩৫ মণ। তার বর্তমান বাজার দর ৩৫ হাজার টাকা। পরে দাম আরো বাড়বে। বিঘা প্রতি লাভ হবে ৪০ হাজার টাকা।
ধানকুনিয়া গ্রামের রসুন চাষী আঃ গণি জানান,এখন অনেকেই শ্রমিক খরচ ও সাংসারিক খরচের জন্য কম দামে রসুন বিক্রি করছে। একসময় দাম হবে অনেক বেশী। তিনি বলেন বিনাহালে রসুনের আবাদ বাড়ছে। লাভ হওয়ায় রসুন আবাদে ঝুঁকছে চাষীরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ এ মাসুমবিল্লাহ জানান,রসুন আবাদে লাভ হওয়ায় কৃষক এই ফসল আবাদে ঝুঁকছে। বাজার দরও এখন কম হলেও কয়েক দিন পর দাম আরো বাড়বে। এ অঞ্চলের রসুন দেশের অনেকটা চাহিদা পূরণ করছে। কৃষকও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
Leave a Reply