মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে পাবনার চাটমোহরের আম গাছগুলো। আম বাগান ও আম গাছ এলাকায় এখন মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে সুরভিত। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে।
এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের ফলন ভালো হবে। উপজেলার পৌরসভা, হরিপুর, গুনাইগাছা, মথুরাপুর, বিলচলন, ছাইকোলা, মুলগ্রাম, ফৈলজানা, ডিবিগ্রাম, নিমাইচড়া ও পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গাছে গাছে আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে। এর মধ্যে কোনো কোনো গাছে আমের ছোট ছোট গুটি বের হচ্ছে।
হরিপুর, গুনাইগাছা, পার্শ্বডাঙ্গা, ছাইকোলা ও ডিবিগ্রাম ইউনিয়নে শতাধিক আমের বাগান রয়েছে। হরিপুরের ধরইল গ্রামের আমচাষী শহিদুল ইসলাম জানান, এবার তার বাগানের প্রতিটি গাছে মুকুল বের হয়েছে। আমচাষীরা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
তিনি জানান, জাতীয় ফল মেলাসহ রাজশাহীতে ফল মেলাতে চাটমোহর থেকে আমচাষীরা অংশ নেন। রাজশাহী থেকে নানা জাতের আমের কলম এনে চাটমোহরের চাষীরা আম চাষ শুরু করেছেন। বাড়ছে বাগানের সংখ্যা।
উপজেলায় ভুতাবোম্বাই, আম আনোয়ারা, ফজলী, মামা ফজলী, খিরসাপাত, গোপালভোগ, আম্রপালি, আশ্বিনা, কালিভোগ, ক্ষুদি খিরসাসহ বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হয়। গ্রামের বিভিন্ন বাগান ছাড়াও এখন শহরের বিভিন্ন রাস্তার আশ-পাশ এবং বাসাবাড়ির ছাদেও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আমের চাষ হচ্ছে।
চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএ মাসুম বিল্লাহ বলেন, আম চাষে উৎসাহিত করতে এলাকার আম চাষি ও কৃষকদের পরামর্শসহ সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। প্রতি বছর বাড়ছে আম বাগানের সংখ্যা।
Leave a Reply