শৈশব থেকে সেই সময়ের চেনা পরিবেশে সাম্প্রদায়িকতা, বৈষম্য দেখে প্রতিবাদী কিশোর হিসেবে গড়ে ওঠেন শেখ মুজিবুর রহমান। জীবনের পথ পরিক্রমায় ছাত্ররাজনীতি, জাতীয় রাজনীতি, বাঙালির মুক্তির জন্য সারাদেশে সংগঠন গড়ে তোলা, ৬ দফার আন্দোলন, সর্বোপরি ২৪ বছরের আন্দোলন- সংগ্রাম এবং ৭০’র নির্বাচনে বিজয় অর্জন সবই ছিল বঙ্গবন্ধু দূরদর্শিতা আর বাঙালির মুক্তির আকাক্সক্ষাকে ধারণ করার ক্ষমতা। ৭১ এর ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার সকল প্রস্তুতির কথা বলা। অবশেষে দেশের স্বাধীনতা অর্জন। ৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরের পরে সারা বিশ্ব শেখ মুজিবের নামে বাংলাদেশকে চিনেছে এবং জেনেছে। শুক্রবার পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ কথা বলেন। সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসে পৌছে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপাচার্য ও অতিথিদের সাথে নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জম্মশত বর্ষের স্মারক মুর্যাল ‘জনক জোত্যির্ময়’ এ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধ জানান। এরপর ক্যাম্পাসে স্বাধীনতা চত্বরে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠের পর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করার পর আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলার মাটি আর মানুষের সন্তান। অনেক নেতা থাকলেও বঙ্গবন্ধু বাঙালির হাজার বছরের বঞ্চনা, বৈষম্য, নিগ্রহ, শোষিত হওয়া, দারিদ্র্য সাম্প্রদায়িকতা দেখেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন বৈষম্য, বঞ্চনা থেকে মুক্তি, অর্থনৈতিক মুক্তি। তিনি বাঙালির মুক্তির প্রাণের তৃষ্ণাকে ধারণ করে আন্দোলন সংগ্রাম করে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে স্বাধীনতা এনে দেন। তিনি বাঙালির প্রাণের আকাক্সক্ষাকে ধরতে পেরেছিলেন। তাই ২৪ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করে বাঙালির আর নিজের মুক্তির তৃষ্ণা এক কাতারে এনে ৭ মার্চের ভাষণ অতপর স্বাধীনতার আন্দোলন। বঙ্গবন্ধুর মত আর কেউ বাংলা আর বাঙালিকে ধারণ করতে পারেননি।
প্রধান অতিথি ডা. দীপু মনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, তোমার ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কান্ডারি। পড়ালেখাকে আনন্দময় করার জন্য প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিজ্ঞান মনস্ক, প্রযুক্তি মনস্ক, মানবিক সৃষ্টিশীল জাতি গঠনের উপযোগী শিক্ষা নীতিমালা করা হয়েছে। এজন্য শিক্ষক-অভিভাবকদেরও অনেক ভূমিকা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।একাত্তরের ঘাতক, পচাত্তরের ঘাতক, ২০০৪’র গ্রেনেড হামলাকারীরা এবং ২০১৩-২০১৪ এর অগ্নি সন্ত্রাসীরা এক ও অভিন্ন। আজও তারা আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর জন্য চেষ্টা করছে। এজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথি পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নুরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা-২ সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির ও বিশেষ অতিথি স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড ও স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। পরে শিক্ষা ও গবেষণায় কৃতিত্বের জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্মারক সম্মানা প্রদান করা হয়। এছাড়া
Leave a Reply