প্রেম ও কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পাবনার ঈশ্বরদীতে এক মেধাবী ছাত্রীর উপর হামলা চালিয়ে তাঁর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক বখাটের বিরুদ্ধে।
সোমবার রাতে ছাত্রীটির বাবা এ ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় বখাটের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ওই বখাটে গ্রেপ্তার ও ছাত্রীর কাছে থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়নি।
ঘটনার স্বীকার ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি ঈশ্বরদী শহরের পশ্চিম টেংরি পিয়ারাখালী এলাকায়। সে সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারী স্কুল এন্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণির একজন ছাত্রী।
ঘটনার পর থেকে ভয়ে ছাত্রীটি তার বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। আতঙ্কে আছে পুরো পরিবারটি।
এজাহারের নথি, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্কুল সুত্রে জানা যায়, ভর্তি সংক্রান্ত কাজ শেষে গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় দিকে সাঁড়া মাড়োয়ারি স্কুল গেটের সামনে নিজ বাড়িতে যেতে রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছিলো ছাত্রীতি। তাকে একা পেয়ে আপন নামে এক বখাটে ওই ছাত্রীর গলায় ধারাল অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাঁর হাতে থাকা স্মার্টফোন মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় ছাত্রীর আত্নচিৎকারে সহপাঠি ও পথচারিরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে প্রধান শিক্ষকের কক্ষ নিয়ে যায়। স্কুল থেকে তাৎক্ষনিক ভাবে বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানানো হয়। ইউএনও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওসিকে অনুরোধ করেন।
পরিবারের সুত্রে জানা যায়, শহরের পশ্চিমটেংরি পিয়ারাখালি এলাকার মৃত ইয়ারুল ইসলামের ছেলে আপন শেখ (২৩) দীর্ঘদিন থেকে তাঁদের মেয়েকে প্রেম নিবেদন, কুপ্রস্তাব ও আজেবাজে কথা বলে আসছে। একই সঙ্গে আপন একাধিক ফেক ফেসবুক একাউন্ট খুলে বিভিন্ন কুরুচিপুর্ণ ম্যাসেজ, টাকা পয়সা চাওয়া ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছিলো। এই নিয়ে একাধিকবার শালিশ বৈঠক হলেও মেয়টির উপর অত্যাচার কমেনি। একই ভাবে গত সোমবার তাঁর মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সম্পর্কে স্কুল ছাত্রীরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে আপন তাকে প্রেমের প্রস্তাবে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে, এই কারণে তাঁর লিখাপড়ায় মনোযোগ দিতে পারছে না।
মেয়েটির বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, মেয়ের উপর হামলা চালিয়ে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার পর থেকে তার লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে, নিরাপত্তার কারনে স্কুলে যাওয়া ও প্রাইভেট পরা বন্ধ রয়েছে।
তিনি জানান, থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এখনো মামলা হয়নি।
সরকারি সাঁড়া মাড়োয়ারি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আয়নুল ইসলাম, এই নেক্কার জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অপরাধীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
Leave a Reply