ঈশ্বরদী শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের ফতোমোহাম্মাদপুর রেলওয়ের লেবেল ক্রসিং গেট সংলগ্ন রেলওয়ের জমিতে পৌরসভার রাস্তা। সেই রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার ওজুহাতে অনুমতি ছাড়াই রেলওয়ের সাতটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ঈশ্বরদী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াকিল আলম ও পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান খোকনসহ কয়েকজনের পরামর্শে এসব গাছ কেটে ফেলা হয়। দুপুরে খবর পেয়ে কেটে ফেলা গাছগুলোর খন্ড করাতকল থেকে জব্দ করেছে রেলওয়ে। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈশ্বরদী শহরের ৫ নং ওয়ার্ডের ফতোমোহাম্মাদপুর রেলওয়ের লেবেল ক্রসিং গেট সংলগ্ন রেলওয়ের বিশাল পুকুরপাড়ের শিল কড়ই ও কৃষ্ণচূড়ার ৭টি গাছ কেটে ফেলা হয়। গাছগুলো স্থানীয় সুইটের করাতকলে নেওয়া হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় করাতকল মালিক সুইট জানান, গাছগুলোর কারণে পৌরসভার রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে বলে পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওয়াকিল আলম, পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান খোকন গাছগুলো কেটে করাতকলে রাখতে বলেন। লোকবল লাগিয়ে গত দুইদিন ধরে গাছগুলো কাটা হয়। আরো কিছু গাছ কাটার সময় রেলওয়ে থেকে লোকজন এসে গাছ কাটতে নিষেদ করেন। একই সঙ্গে করাতকল থেকে গাছের টুকরোগুলো নিয়ে যান।
ঈশ্বরদী পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ওয়াকিল আলম জানান, তিনি শুধু উপড়ে পড়া গাছ কেটে ফেলতে বলেছেন। তাছাড়া রেলওয়ের গাছ কাটার কোন বৈধতা নেই। তাই কাছগুলো কাটার সঙ্গে তাঁর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবী করেন।
পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিজানুর রহমান খোকন জানান, তিনি কাউকে গাছ কাটতে হুকুম প্রদান করেননি। তিনি গাছ কাটেন না, নতুন করে আরো গাছ লাগান বলেও দাবী করেন।
রেলওয়ের উর্দ্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (কার্য) তৌহিদ সুমন জানান, গাছগুলো পৌরসভার স্থানীয় কাউন্সিলর ওয়াকিল আলম ও পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিজানুর রহমানের নির্দেশে কাটা হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় করাতকল থেকে কেটে ফেলাগাছগুলোর ১৭ টি খন্ড জব্দ করে নিজেদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply