ঋন খেলাপির দায়ে মামলায় অভিযুক্ত পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের ভাড়ইমারী গ্রামের সেই ৩৭ কৃষকের ঋন সংক্রান্ত বিষয় পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংকের তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছে।
রবিবার সকালে ব্যাংকের ডিজিএম আহসানুল গনির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ভাড়ইমারী গ্রামে পৌছান। সেখানে তারা ভুক্তভোগী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে ব্যাংকের ডিজিএম আহসানুল গণির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ভাড়ইমারী গ্রামে পৌঁছান। এ সময় সেখানে তারা ভুক্তভোগী কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর ১২ কৃষককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
ষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, ভুক্তভোগী কৃযকদেরকে কোন নোটিশ না দিয়ে সম্পূর্ণ হয়রানিমূলকভাবে ৩৭ জন কৃষকের নামে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় ১২ জন কৃষককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তের সময় কৃষকদের কাছে পাঠানো কোন নোটিশের কপিও দেখাতে পারেননি। তারা অবিলম্বে হয়রানিমূলকভাবে দায়ের করা ওই মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এদিকে বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। গত ২৭ নভেম্বর পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক শামসুজ্জামান গ্রেপ্তার ১২ কৃষকসহ ৩৭ জন কৃষকের জামিন মঞ্জুর করেন।
কৃষক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, ভুক্তভোগী কৃযকদেরকে কোনো নোটিস না দিয়ে সম্পূর্ণ হয়রানিমূলকভাবে ৩৭ জন কৃষকের নামে মামলা করা হয়েছে। মামলায় ১২ জন কৃষককে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্তের সময় কৃষকদের কাছে পাঠানো কোনো নোটিশের কপিও দেখাতে পারেননি। তারা অবিলম্বে হয়রানি মূলকভাবে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও সমবায় ব্যাংকের ডিজিএম (পরিদর্শন) আহসানুল গণি বলেন, ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কাছে কোনো বক্তব্য দিতে পারব না।
Leave a Reply