শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ০৫:১৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
অফিস অটোমেশন সিষ্টেমের উদ্বোধন, কাগজবিহীন অফিস হতে চলেছে পাবিপ্রবি বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে পাবিপ্রবিতে আলোচনা সভা পাবিপ্রবিতে প্রথমবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার সকল আয়োজন সম্পন্ন আন-নাসর রমাদান কুইজ ও কর্জে হাসানা কার্যক্রম শুরু পাবনায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নতুন বর্ষবরণ রূপপুর প্রকল্পের গাড়ি চালক সম্রাট হত্যা মামলার মূলহোতা মমিন গ্রেফতার নিখোঁজের দুইদিন পর রূপপুর প্রকল্পের গাড়িচালকের মরদেহ উদ্ধার বাউয়েট এ, “সরকারী খরচে আইনগত সহায়তা প্রদান কার্যক্রম” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত নিখোঁজের দুইদিন পর যমুনা নদী থেকে কিশোরের বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার চরতারাপুরে বালু মহলে পুলিশের ওপর চেয়ারম্যানের লোকজনের হামলা, সরঞ্জাম জব্দ

শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু কারাগারে

বিশেষ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত Monday, 27 June, 2022
Pabnamail24

১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে ট্রেনে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলার মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্ত প্রাপ্ত আসামি ঈশ^রদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে সোমবার দুপুরে কড়া নিরপত্তার মধ্য দিয়ে পাবনা জেলা গোয়েন্দা অফিস থেকে জাকারিয়া পিন্টুকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ সময় পিণ্টুর সমর্থক নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে ভীড় করেন।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সেময়ের বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনে ঈশ্বরদী স্টেশন পার হবার সময় গুলিবর্ষণ করেন জাকারিয়া পিন্টুসহ স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। ওই ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় দায়ের হওয়া মামলায় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই ঈশ্বরদী বিএনপির ৯ শীর্ষ নেতার মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার দিন থেকেই পলাতক ছিলেন পিন্টু। জাকারিয়া পিন্টু ঐ মামলা ছাড়াও ভেড়ামারা থানার অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। এছাড়াও মোট ৮ টি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত পলাতক আসামি তিনি। তার বিরুদ্ধে মোট ২৪ টি মামলা চলমান রয়েছে।
মাসুদ আলম আরো জানান, দুপুরে পাবনা অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত বিচারক ইশরাত জাহান মুন্নীর আদালতে সোপর্দ করার পর পিন্টুকে কড়া নিরপত্তায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার (২৫ জুন) রাতে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৯৯৪ সালে ছিলেন বিরোধীদলীয় নেতা। সে সময় ক্ষমতায় বিএনপি সরকার, প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ওই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ট্রেন মার্চ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। খুলনা থেকে ট্রেনে করে সৈয়দপুর যাওয়ার পথে ঈশ্বরদী স্টেশনে তার যাত্রাবিরতি ও পথসভা করার কথা ছিল। ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশনে পৌঁছালে শেখ হাসিনার বগি লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়া হয়। তবে ওই ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যান আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হামলার ঘটনায় রেল পুলিশের ওসি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে সাত জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও শতাধিক ব্যক্তিকে ‘অজ্ঞাত পরিচয়’ আসামি হিসেবে দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন। তবে, বিএনপি সরকারের সময়ে এ মামলার তদন্ত আটকে থাকে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে পুলিশকে পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
তদন্ত শেষে ঈশ্বরদীর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে আসামি করে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। পরে অভিযোগ গঠন করে আসামিদের বিচার শুরু করে আদালত।
পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোস্তম আলী ২০১৯ সালের ৩ জুলাই এ মামলার রায়ে বিএনপির নয় নেতাকর্মীকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এ ছাড়া ২৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয় রায়ে।
পিন্টু ছাড়া মৃত্যুদণ্ডের বাকি নয় আসামি হলেন: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মোকলেছুর রহমান, পাবনা জেলা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক একেএম আকতারুজ্জামান আকতার, ঈশ্বরদী পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোস্তফা নূরে আলম শ্যামল, স্থানীয় বিএনপি নেতা মাহবুবুল রহমান পলাশ, রেজাউল করিম ওরফে শাহিন, শামছুল আলম, আজিজুর রহমান ভিপি শাহীন ও শহীদুল ইসলাম অটল।
এই আটজনকে রায়ের সময়ই কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। মামলার ৫২ আসামির মধ্যে পাঁচজন বিচার চলার মধ্যেই বিভিন্ন সময়ে মারা যান।

শেয়ার করুন

বিভাগের আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!